Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ মার্চ ২০২৪

সমভূমির তুলাচাষ প্রযুক্তি

সমভূমির তুলাচাষ পদ্ধতি

জমি নির্বাচন

তুলাগাছ জমিতে দাঁড়ানো পানি সহ্য করতে পারে না। তাই তুলাচাষের জন্য উপযুক্ত হচ্ছে উঁচু জমি যেখানে বন্যা বা বৃষ্টির পানি ৬-৮ ঘন্টার বেশী জমে থাকে না। গাছের শিকড় বিস্তৃতিতে সুবিধাযুক্ত উত্তম নিষ্কাশিত মাটি তুলাচাষের উপযোগী। তুলাচাষের জন্য উৎকৃষ্ট হচ্ছে- বেলে দো-আঁশ ও দো-আঁশ প্রকৃতির মাটি। এছাড়াও, এটেল দো-আঁশ ও পলিযুক্ত এটেল দো-আঁশ মাটিতে তুলাচাষ করা যায়। অতি অল্প বা অতি ক্ষার উভয় প্রকার মাটি তুলাচাষের জন্য অনুপোযোগী। তুলাচাষের জন্য মাটির ‘পি এইচ’ মান ৬-৭.৫ থাকা ভালো। মাঝারি লবণাক্ততা (৮ ডিএস/মিটার) সম্পন্ন উঁচু জমিতেও তুলাচাষ করা যায়। ছায়াযুক্ত স্যাঁত স্যাঁতে জমি তুলাচাষের জন্য পরিহার করতে হবে।

জমি তৈরী

চাষ দেবার আগেই বিঘা প্রতি ১.০-১.৫ টন গোবর/কম্পোষ্ট সার জমিতে ছিটিয়ে দিতে হবে। তারপর বৃষ্টির ফাকে ফাকে মাটির জো অবস্থা বুঝে ৩-৪ টি চাষ ও মই দিয়ে জমি সমতল ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। বিভিন্ন আবর্জনা ও আগাছা উত্তমরূপে পরিষ্কার করতে হয়। প্রতিক‚ল পরিবেশে বিনা চাষে ডিবলিং পদ্ধতিতে তুলা বীজ বপন করে অর ফলন পাওয়া যায়।

চারা তৈরী করে রোপণ

উপরে ছাউনির ব্যবস্থা করে কাগজ অথবা পলিথিন প্যাকেটে চারা তৈরী করে ১০-১২ দিন বয়সের চারা মূল জমিতে বপন করা যায়। এভাবে নাবীতে পাট ও আউশ ধান কেটে ঐ জমিতে তুলা বপন করে অর ফলন পাওয়া যায়।

বপনের সময়

জাত ভেদে তুলার বীজ ১ আষাঢ় ধেকে ১৫ শ্রাবন পর্যন্ত ( ১৫ জুন থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ) বপনের সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। তবে ৩০ শ্রাবন অর্থাৎ ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত বীজ বপন করা যেতে পারে। হাইব্রিড জাত আগাম বপন করা উত্তম। উপযুক্ত সময়ে বীজ বপন করা হলে তুলা উঠিয়ে ঐ জমিতে সহজেই বোরো ধান, আলু, গম, ভ‚ট্টা ও সবজির মতো উচ্চমূল্যের ফসল আবাদ করা যায়।

বীজ হার

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব উফশী ওপি জাতের ক্ষেত্রে বিঘা প্রতি ১.০ কেজি এবং হাইব্রিডের ক্ষেত্রে ৫০০-৬০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। বীজ বপনের পূর্বে তুলাবীজ ৩-৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে শুকনো মাটি বা ছাই দিয়ে ঘষে নেয়া উত্তম। মনে রাখা দরকার উচ্চ ফলনের জন্য বিঘা প্রতি কমপক্ষে ৩ হাজার গাছ থাকা আবশ্যক।

বীজ শোধন

বপনের পূর্বে তুলাবীজ একটি পাত্রে নিয়ে তাতে প্রতি কেজি বীজের জন্য ৫ গ্রাম গাউচু/কনফিডর/একতারা কীটনাশক সামান্য পানি দিয়ে বীজের গায়ে মিশিয়ে নিতে হবে যাতে কোন অতিরিক্ত পানি না থাকে। অতঃপর ছায়ায় ৪০-৫০ মিনিট শুকিয়ে নিয়ে বপন করতে হবে।

বপন পদ্ধতিঃ

তুলাবীজ সারিতে বপন করতে হয়। সারি উত্তর-দক্ষিণ বরাবর লম্বা-লম্বি করে তৈরি করতে হয়। উপযুক্ত সময়ে বীজ বপন করা হলে সব জাতের ক্ষেত্রেই সারি থেকে সারি ৯০ সেঃমিঃ (৩ ফুট বা ২ হাত) এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৪৫সেঃমিঃ (১.৫ ফুট বা ১ হাত) বজায় রেখে বীজ বপন করতে হয়। সারি বরাবর মাটি উচু করে তার উপর বীজ বপন করা উত্তম। কারন এতে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন সহজ হয়, চারা গাছ জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পায়। ফলে চারা গাছের বৃদ্ধি ভাল হয়। সারির উপর নির্দিষ্ট দরত্বে আধা ইঞ্চি গভীরে ২-৩ টি বীজ সামান্য মাটির দ্বারা হালকা ভাবে ঢেকে দিতে হবে। বীজ মাটির দ্বারা শক্ত করে ঢেকে দিলে অথবা গর্ত করে বেশী গভীরে বীজ দিলে চারা গজাতে অসুবিধা হতে পারে।

বীজ বপন দুরত্ব

মাটির ধরণ

বপন দুরত্ব

আগাম

(১৫ জুলাই এর পূর্বে)

সঠিক সময়ে

(১৫ জুলাই-১৫ আগস্ট)

নাবী

(১৫ আগস্টের পরে)

বেলে দোয়াঁশ

১০০ সেমি: × ৬০ সেমি:

১০০ সেমি: × ৬০ সেমি:

১০০ সেমি: × ৫০ সেমি:

দোয়াঁশ

১০০ সেমি: × ৬০ সেমি:

১০০ সেমি: × ৬০ সেমি:

১০০ সেমি: × ৬০ সেমি:

এটেল দোয়াঁশ

১০০ সেমি: × ৬০ সেমি:

১০০ সেমি: × ৬০ সেমি:

১০০ সেমি: × ৫০ সেমি:

 

বীজ বপনোপযোগীকরণ

বীজতুলা জিনিং এর পর তুলাবীজের গায়ে ক্ষুদ্র আঁশ বা ফাজ থাকে। সে জন্য একটি বীজ থেকে অন্যটি সহজে আলাদা করা যায় না। বপনের সুবিধার জন্য তুলাবীজ ৩-৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে তা ঝুরঝুরে মাটি বা শুকনো গোবর অথবা ছাই দিয়ে এমনভাবে ঘষে নিতে হবে যেন আঁশগুলো বীজের গায়ে লেগে যায় এবং একটা হতে অন্যটা সহজেই আলাদা হয়ে যায়। তবে জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকলে তুলাবীজ পানিতে না ভিজিয়ে বীজ আলাদা করতে হবে।

জাত নির্বাচন

তুলা উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত ১৯টি সমভূমির তুলার জাতের মধ্যে বর্তমানে ১৮ টি উচ্চ ফলনশীল তুলার জাত ও একটি হাইব্রিড জাত এবং বেসরকারী পর্যায়ে ২টি সীড কোম্পানি কর্তৃক আমদানিকৃত হাইব্রিড জাত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চাষাবাদ করা হচ্ছে।

সার প্রয়োগ

 

ভাল ফলন পেতে হলে তুলা ক্ষেতে উপযুক্ত সার সঠিক পরিমান ও নিয়মমাফিক ব্যবহার করতে হয়৷ মাটিতে জৈব ও রাসায়নিক উভয় প্রকার সার প্রয়োগ করা প্রয়োজন ৷ জৈব সার ব্যবহারে মাটির জৈব পদার্থ বৃদ্ধি পায়৷ ফলে মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ে, অণুজীব এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং অনুখাদ্যের পরিমাণ বাড়ে৷

 

বিঘা প্রতি সাররে মাত্রা ও প্রয়োগ পদ্ধতি

সাররে

নাম

সাররে পরমিান (কজেি/বঘিা)

মন্তব্য

মোট পরমিান

জমি তরৈীর সময় প্রয়োগ (ব্যাসাল)

র্পাশ্ব প্রয়োগ

১ম

(বপনরে ২০-

২৫ দনি পর)

২য়

(বপনরে ৪০-

৫০ দনি পর)

৩য়

(বপনরে ৬০-

৭০ দনি পর)

র্৪থ

(বপনরে ৭০-

৮০ দনি পর)

ইউরয়িা

২৫-৩০

১.৫-২.৫

২.৫-৩

৭.৫-৯

৭.৫-৯

৫-৬

হালকা বুনটরে

মাটিতে অধকি ফলনরে জন্য প্রতিটি সার বশেী সংখ্যক কিস্তিতে প্রয়োগরে উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।

টএিসপি/ডএিপি

২৫-৩০

১০-১২

-

*৮-৯

*৮-৯

-

এমওপি

৩০-৩৩

৩-৪

৫-৬

৯-১০

৯-১০

৪-৫

জপিসাম

১৪-১৬

৪-৫

-

৬-৭

৪-৫

-

সলুবর বোরণ

২.৫-৩

১-১.৫

-

০.৫০

-

জিংক

২.৫-৩

১-১.৫

-

০.৫০

-

ম্যাগ. সালফটে

২.৫-৩

১-১.৫

-

০.৫০

-

গোবর/কম্পোষ্ট

৬০০-৮০০

-

-

-

 

-

চুন

১০০-১৫০

বীজ বপনের এক মাস পূর্বে

-

-

-

 

অম্ল মাটিতে

 

নোটঃ বঘিা প্রতি ইউরয়িা সাররে পরমিান ও প্রয়োগ সময় তুলার জাত, প্রয়োগ পদ্ধতি, মাটরি র্উবরতা শক্তি এবং উক্ত সময়রে আবহাওয়ার উপর নর্ভির করে নরিূপণ করতে হবে। *গাছরে ৪০ দনি এবং ৬০ দনি বয়সে টএিসপি সাররে পরর্বিতে ডএিপি সার র্পাশ্ব প্রয়োগ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ইউরয়িা সার বঘিা প্রতি ৫-৬ (১৮%) কেজি কম ব্যবহার করতে হব।

 

সার প্রয়োগ পদ্ধতি

 

বেসাল সার বীজ বপনের জন্য তৈরী নালায় অথবা পৃথক নালা কেটে প্রয়োগ করতে হবে৷ পার্শ্ব প্রয়োগের ক্ষেত্রে সারি থেকে ৫-৬ সেমিঃ দুরে নালা কেটে সার প্রয়োগ করে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে৷ একবার সারির যে দিকে পার্শ্ব  প্রয়োগ করা হবে পরবর্তিতে তার বিপরীত দিকে পার্শ্ব প্রয়োগ করতে হবে৷ বেসাল সার প্রয়োগ কোন কারণে সম্ভব না হলে তা চুড়ান্ত চারা পাতলাকরনের পর পার্শ্ব প্রয়োগ করতে হবে৷ উলে­খ্য, তুলা ফসলে ফুল ধারণ পর্যায় হতে অধিক হারে খাদ্য গ্রহণ শুরু করে যা বোল ধারণ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে৷

 

ফলয়িার স্প্রে

 

গাছরে বয়স ৫০-৬০ দিনের পর থেকে ১০০ দনি র্পযমত্ম ১০-১৫ দনি অমত্মর অমত্মর ৩ থকেে ৪ বার মাত্রানুযায়ী ফলয়িার স্প্রে প্রয়োগ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ইউরয়িা অথবা ডএিপি সার ২% হারে (প্রতি ১০ লটিার পানিতে ২০০ গ্রাম ইউরয়িা/ডএিপি সার), এমওপি সার ১% হারে (প্রতি ১০ লটিার পানিতে ১০০ গ্রাম এমওপি সার) এবং  মাইক্রোনউিট্রয়িন্টে যমেন সলুবর বোরণ, জিংক সালফটে ০.১০-০.১৫% হারে ( প্রতি ১০ লটিার পানিতে ১০-১৫ গ্রাম) পানিতে ভাল করে মিশিয়ে গাছরে পাতায় স্প্রে করলে গাছে বোল সংখ্যা বশেী ও বড় হয় ফলে অধকি ফলন পাওয়া যায়।

 

কম্পোষ্ট/গোবর সার প্রয়োগ

হেক্টর প্রতি ১২.৫ টন কম্পোষ্ট সার, ২.৫ টন ভার্মি কম্পোষ্ট/পোল্ট্রির বিষ্টা অথবা প্রাপ্তি সাপেক্ষে ৫-৬ টন পঁচা গোবর সার জমিতে ছিঢিয়ে চাষ দিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে৷ তুলার ফলন বৃদ্ধি ও মান উন্নয়নের জন্য জৈবসার প্রয়োগ করা প্রয়োজন৷ কুইক কপোষ্ট/ভার্মি কম্পোষ্ট তৈরীর পদ্ধতি অনুসরণ করে সহজেই কম্পোষ্ট সার তৈরী করা যায়৷

 

সবুজ সার প্রয়োগ

 

ধৈঞ্চা ও শন-পাট সবুজ সারের জন্য উপযুক্ত৷ তুলার জমিতে জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম সপ্তাহে ৫০ কেজি/হেঃ সবুজ সারের বীজ বুনতে হয় এবং ৪৫-৫০ দিন পরে জমিতে চাষ দিয়ে সবুজ অবস্থায় ধৈঞ্চা বা শন-পাটের গাছ মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হয়৷ গাছগুলি মাটিতে পঁচে মিশে যাবার পর তুলাবীজ বপন করতে হয়৷

 

হরমোন স্প্রে

 

গাছরে ফুল, কুড়ি ও বোল সংখ্যা বৃদ্ধরি জন্য ৫০-৬০ দনি বয়সরে পর থেকে ৭-১০ দনি পর পর ৩-৪ বার হরমান যেমন- ফ্লোরা ইত্যাদি গাছের পাতায় প্রয়োগ করা হলে অধকি ফলন পাওয়া যায়। গাছরে পাতা সবুজ রাখার জন্য সালফার সার প্রতি ১০ লটিার পানিতে ২০ গ্রাম মিশেয়ে প্রয়োগ করা যেতে পার।

 

অন্তঃর্বতীকালীন পরর্চিযা

 

১. শূন্যাস্থান পূরণ (গ্যাপ ফিলিং)

 

বীজ বপনরে ৭-৮ দনিরে মধ্যে যে সব হিলে (র্গতে/মাদায়) চারা গজায় নাই সে সকল মাদায় বা তার র্পাশ্বে পুনরায় বীজ বপন করতে হবে। বীজ বপনরে সময় জমরি কনিারায় কছিু অতরিক্তি বীজ বপন করে বাড়তি চারা উৎপাদন করলে পরর্বতীতে উক্ত চারা দ্বারা সহজইে গ্যাপ ফিলিং করা যায়। চারা উঠিয়ে গ্যাপ ফিলিং বৃষ্টি বা মঘেলা দিনে করা উত্তম।

২. চারা পাতলা করণ ও আগাছা দমন

চারা গজানোর ১০ দনিরে মাথায় প্রতি মাদায় ২টি এবং ২০ দনিরে মধ্যে প্রতি মাদায় ১টি করে সুস্থ সবল চারা রেখে বাকী চারা তুলে ফলেতে হবে। চারা পাতলা করনরে সময় হাত/কাঁচি/কোদাল দ্বারা আগাছা দমন করতে হবে। গাছে পুরোদমে ফুল না আসা র্পযমত্ম র্অথাৎ বপনরে ৬০-৭০ দিন পর্যন্ত জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। আগাছানাশক ব্যবহার করওে আগাছা দমন করা যেতে পারে, তবে আগাছানাশক নর্বিাচন এবং এর প্রয়োগরে ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

৩. গোড়া মাটি দ্বারা বেঁধে দয়ো

বীজ বপনরে ৪০ দনি পর ১ম বার র্অথ্যাৎ ২য় ইউরয়িা সাররে র্পাশ্ব প্রয়োগরে সময় এবং আবার বীজ বপনরে ৬০ দিন পর ২য় বার র্অথ্যাৎ ৩য় ইউরয়িা সাররে র্পাশ্ব প্রয়োগরে সময় গাছরে গোড়া মাটি দিয়ে ভাল করে বেঁধে দিতে হবে। কোদাল দ্বারা দু’সাররি মাঝরে মাটি টেনে গাছরে গোড়া বাঁধার কাজটি করা যেতে পারে। ফলে গাছ সহজে ঢলে পড়বে না এবং জমি থেকে পানি নষ্কিাশন ও মাটিতে পরমিতি রস ধরে রাখা সহজ হবে।

৪. সেচ ও নষ্কিাশন

উপযুক্ত সময় (৩০, জুলাই এর মধ্যে) বীজ বপন করলে তুলা ফসলে কদাচৎি সচেরে প্রয়োজন দখো দিতে পারে। কন্তিু নাবীতে বপন করার কারনে যদি নভম্বের/ডসিম্বের মাসে জমিতে রস কমে যায় তবে ১/২টি হাল্কা সেচের প্রয়োজন হতে পারে। তুলার জমিতে বোল ফাঁটা শুরু করা র্পযাপ্ত যাতে পরমিতি রস থাকে তা নশ্চিতি করা দরকার। সাধারনত গাছরে বয়স ৫ মাস হলে আর সচে দয়ো উচতি নয়, এতে ফসল নাবী হওয়ার আশংকা থেকে মুক্ত থাকবে।

তুলা গাছ কোন বয়সইে জমে থাকা পানি ২-৩ দনিরে বশেী সহ্য করতে পারে না। চারা অবস্থায় পানি নষ্কিাশনের  দিকে অধকি নজর দিতে হবে, তা না হলে গাছরে গোড়াপঁচা রোগ হওয়ার আংশকা থাকে। জমি সবসময় ভজিা, স্যাঁতসেঁতে থাকলে গাছরে কুঁড়ি, ফুল ও ফল ঝরে যায়। এরূপ অবস্থায় জমি থেকে অতরিক্তি পানি অপসারণরে মাধ্যমে শুকানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. অঙ্গ ছাটাই ও ডগা র্কতন

অভজ্ঞিতার ভিত্তিতে দেখা যায় যে, তুলা গাছরে গোড়ার দিকে ১-২টি অংগজ শাখা কেটে দিলে গাছরে উপরাংশরে ফলধারী শাখা-প্রশাখার বকিাশ ও বৃদ্ধি ভাল ঘটে আলো বাতাসরে চলাচল বাড়ে এবং রোগ ও পোকামাকড়রে আক্রমন কম হয় ফলে ফলন বৃদ্ধি পায়।

৬.  রগিং বা অবাঞ্চিত জাতের গাছ তুলে ফেলা

যে জাতের তুলাচাষ করা হয় সে জাত ভিন্ন অন্য জাতের তুলা গাছকে ‘রগ’ বা অবাঞ্চিত জাতের গাছ বলে৷ অবাঞ্চিত জাতের গাছগুলো ফুল ফোটার পূর্বে তুলে ফেলাকে ‘রগিং’ বলে৷ জাতের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য ‘রগিং’ অতি জরুরী