উপর্যুক্ত বিষয়ের আলোকে জানানো যাচ্ছে যে, সাম্প্রতিক সৃষ্ট নিম্নচাপ জনিত কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ, উচ্চ তাপমাত্রা ও বাতাসের আদ্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কোন কোন এলাকায় তুলার জমিতে পানি জমাসহ জমিতে বেসাল হিসেবে দেয় সারের লিচিং এবং জ্যাসিড পোকার আক্রমন বৃদ্ধি পেতে পারে। এমতাবস্থায় ফলন যাতে বাধাগ্রস্থ না হয় সে জন্য চাষিভাইদের জরুরী ভিত্তিতে নিম্নোক্ত বিষয়ে পরামর্শসহ কাযর্করী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বলা হলো।
১। তুলার জমিতে জমে থাকা পানি দ্রুত নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
২। সার প্রয়োগ ও গোড়াবাঁধাইঃ
অধিক বৃষ্টিতে সার ধুয়ে চলে যাওয়ায় জমিতে জোঁ আসা মাত্র পটাশ, ডিএপি, জিপসাম ও বোরণ সার সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করে গোড়া বাঁধাই করে দিতে হবে। ঢলে পড়া গাছ অবশ্যই দ্রুত সোজা করে দিতে হবে।
৩। জ্যাসিড নিয়ন্ত্রনঃ
জ্যাসিড নিয়ন্ত্রনের জন্য দ্রুত গাছের কচিপাতার নীচে স্প্রে করতে হবে এবং পাতার শিরায় জ্যাসিডের ডিম ফুটে আবারো সংখ্যায় বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা রোধের জন্য পরবর্তী স্প্রে ৩ দিনের মধ্যে কচি পাতার নীচে অন্য গ্রুপের কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। আর আঁচা পোকার আক্রমন দেখা দিলে হাত বাছাই করে ২য় গ্রুপের কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
৪। রুপালী বাম্পার প্রয়োগঃ
গাছের অধিক বৃদ্ধি রোধ, গাছকে দৃঢ়তা দান, পাতা পুরু ও গাঢ় সবুজ করার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ এমএল রুপালী বাম্পার মিশ্রিত করে গাছের শীর্ষ ডগায় স্প্রে করতে হবে। গাছের বৃদ্ধির উপর ভিত্তি করে ১০-১৫ দিন অন্তর অন্তর ৩-৫ বার রুপালী বাম্পার স্প্রে করতে হবে।
তুলা ফসলের অবস্থা সম্পর্কে সিসিডিওগন নিয়মিতভাবে সংশ্লিষ্ট উপপরিচালককে অবহিত করবেন এবং উপপরিচালকগন নিয়মিতভাবে ফসলের অবস্থা এবং গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে নিম্নস্বাক্ষরকারীকে অবহিত করবেন।